সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের তেল বাণিজ্যের কড়া সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তিনি দুই দেশের অর্থনীতিকে মৃত বলে কটাক্ষ করেন। এমনকি নতুন করে নয়াদিল্লিকে শুল্কের হুমকি দেন ট্রাম্প। বলেন, মস্কো থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখলে ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পণ্যে শতভাগ মার্কিন শুল্ক আরোপ করা হবে।
এরপরেই, শুক্রবার (১ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি শুনেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে আর তেল কিনবে না। যদিও সে সময় সেই তথ্যের নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিনি।
ট্রাম্পের এমন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে নিউইয়র্ক টাইমসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা বন্ধের খবরে কী বললেন ট্রাম্প?
তাদের মধ্যে এক কর্মকর্তা জানান, মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী জ্বালানি চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। রাতারাতি বাণিজ্য বন্ধ সম্ভব না। রাশিয়া বর্তমানে ভারতের সর্ববৃহৎ তেল সরবরাহকারী, যা মোট আমদানির প্রায় ৩৫ শতাংশ।
ভারতের সরকার জানিয়েছে, এই আমদানি বৈশ্বিক নিয়মের মধ্যেই হচ্ছে, কারণ রাশিয়ার তেলের ওপর সরাসরি কোনো মার্কিন বা ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা নেই বরং জি সেভেন ও ইইউ নির্ধারিত মূল্যসীমা কাঠামো রয়েছে।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, তাদের জ্বালানি উৎসগুলোর ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারের প্রতি নজর রেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নয়া দিল্লির সম্পর্ক তাদের নিজেদের যোগ্যতার উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এটি তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে যা বলল ভারত
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকির জবাবে, ক্রেমলিন সিপিসি পাইপলাইনবন্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে। এটি কাস্পিয়ান অঞ্চল থেকে প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবহন করে, যা বিশ্ব সরবরাহের প্রায় তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ।রাশিয়ার এই পাল্টা পদক্ষেপ বিশ্ব বাজারে তেলের অস্থিরতা বাড়িয়ে দেবে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে সংকটের মুখে ফেলবে বরে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
]]>