সোমবার (২৬ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ‘যদি উদ্দেশ্যটি (চুক্তি) এমন হয় যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মাধ্যমে অস্ত্রশস্ত্র (উইপোনাইজড) তৈরি করা হবে না তা নিশ্চিত করা, আমি মনে করি এটি কোনোভাবে আমরা করতেই পারি।’
অনেক উপায়ে এই ধরনের চুক্তির সমঝোতায় পৌঁছানো যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তবে এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
যদিও ইসমাইল বাঘেঘাই জোর দিয়ে বলেছেন, যেকোনো চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক শক্তির অধিকার সুরক্ষিত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: খামেনি-শেহবাজ বৈঠক: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মুসলিম ঐক্যের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘যদি ইরানীদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় তবে আমি মনে করি যে এটি খুব সমস্যাযুক্ত হবে। এবং এটি পুরো প্রক্রিয়াটিকে সত্যই চ্যালেঞ্জ করে তুলবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি নিশ্চিত করতে ইরান অস্থায়ীভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করবে না বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ইরান-ওয়াশিংটনের সঙ্গেএকটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তিন বছরের জন্য সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করতে পারে- এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসমাইল বাঘাই বলেন, ‘ইরান কখনই তা মেনে নেবে না।’
এর আগে রোববার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, সপ্তাহান্তে ইরানের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে মার্কিন আলোচকদের ‘খুব ভালো’ আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প চান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নেতানিয়াহু একই অবস্থানে থাকুক: মার্কিন কর্মকর্তা
বাঘাই বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সদিচ্ছা থাকে, তাহলে আমরাও আশাবাদী, কিন্তু যদি আলোচনা ইরানের অধিকার খর্ব করার জন্য হয়, তাহলে আলোচনার কোনো ফল হবে না।’
বাঘাই আরও জানান, পরবর্তী দফা আলোচনার সময় সম্পর্কে মধ্যস্থতাকারী ওমানের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ইরান অপেক্ষা করছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। আলোচনার লক্ষ্য দেশটির পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কয়েক দশক ধরে চলমান বিরোধের সমাধান করা। তবে সম্প্রতি উভয় পক্ষই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে কঠোর অবস্থান নি করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন
]]>