গেল ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর মার্কিন ফেডারেল কর্মশক্তি সংস্কারের কাজ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। আট মাসের বেতন-ভাতার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ২০ লাখের বেশি কর্মীকে চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সরকারের ব্যয় কমানোর পাশাপাশি প্রশাসনের আকার ছোট করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে জানায় তার প্রশাসন।
চল্লিশ হাজারের বেশি কর্মী ট্রাম্পের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। যাদের বেতন সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত দেয়া হবে। তবে অনেক কর্মী এই চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।
এরমধ্যেই ট্রাম্পের প্রস্তাব সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন মার্কিন আদালত। ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় আইনের লঙ্ঘন হয়েছে জানিয়ে ফেডারেল কর্মীদের ইউনিয়ন আদালতের দ্বারস্থ হলে বৃহস্পতিবার বিচারক ও’টুল জুনিয়র পরিকল্পনাটির কার্যকারিতা সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় ফেরার পর ইরানের ওপর ট্রাম্পের প্রথম নিষেধাজ্ঞা
বিচারক বলেন, মামলার যৌক্তিকতা আছে কিনা, সোমবার তা খতিয়ে দেখার পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এই সাময়িক স্থগিতাদেশকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে হোয়াইট হাউস। সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়ায় এক বিবৃতিতে বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে ইসরাইল: ট্রাম্প
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ পরিকল্পনার মাধ্যমে দক্ষ সরকারি কর্মীদের সরিয়ে রাজনৈতিকভাবে মনোনীত ব্যক্তিদের ও বেসরকারি ঠিকাদারদের আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছে আমেরিকান ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ।
আর ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এক কর্মকর্তা।