তবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। এফবিআইপ্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কতটুকু নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন, তা নিয়েও তোলা হচ্ছে প্রশ্ন।
ক্যাশ প্যাটেল হিসেবে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ বিনোদ প্যাটেল। ইউনিভার্সিটি অব রিচমন্ড থেকে ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড হিস্টোরি বিষয়ে স্নাতক করেন তিনি।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে মার্কিন প্রশাসনে যোগ দিয়েছিলেন ক্যাশ প্যাটেল। একজন আইনজীবী হিসেবে সরকারি কাজে তার অভিজ্ঞতা ছিল কম। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনে দ্রুত তার উত্থান হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের এফবিআই প্রধান হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, ক্যাশের এই উন্নতির পেছনে ছিল, ট্রাম্পের প্রতি তার পূর্ণ আনুগত্য। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের চিফ অব স্টাফ পদে কাজ করেছেন।
এফবিআই ঘিরে প্রায়ই নিজের অবিশ্বাসের কথা সামনে এনেছেন ট্রাম্প। সংস্থাটি রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ তার।
ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, ক্যাশ প্যাটেল এফবিআইয়ে বিশ্বস্ততা, সাহসিকতা ও সততা ফিরিয়ে আনবেন। সংস্থাটির দায়িত্ব পেলে আমেরিকায় মহামারির মতো বেড়ে চলা অপরাধে লাগাম টানবেন তিনি। অভিবাসীদের অপরাধী চক্রগুলোকে ধ্বংস করে দেবেন। একই সঙ্গে মার্কিন সীমান্তে মানব ও মাদক পাচার বন্ধ করবেন ক্যাশ।
আরও পড়ুন: ছেলেকে ক্ষমা করায় বাইডেনকে নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
চলতি বছরের শুরুতে একটি সাক্ষাৎকারে ক্যাশ প্যাটেল বলেছিলেন, এফবিআইয়ের কার্যক্রম থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজকে বাদ দেবেন তিনি। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউয়ে এফবিআইয়ের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দেবেন। তবে যতই বিতর্ক আর সমালোচনা থাকুক না কেন, ক্যাশ প্যাটেলকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।