রোববার (১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার ট্রাম্প তার সোশ্যাল ট্রুথে লেখেন, ‘কাশ একজন চমৎকার আইনজীবী, তদন্তকারী এবং 'আমেরিকা ফার্স্ট' যোদ্ধা। দুর্নীতি উন্মোচন, ন্যায়বিচার এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য কাজ করেছেন প্যাটেল।’
প্রথম মেয়াদে কাশ প্যাটেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তা ছিলেন কাশ। তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চিফ অব স্টাফও ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শপথ নেয়ার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প
এর আগে এফবিআইকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেয়ার এবং ট্রাম্পের এজেন্ডাকে সমর্থন করতে অস্বীকার করা যেকোনো কর্মচারীর পদগুলোকে শুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন কাশ।
গত সেপ্টেম্বরে কাশ প্যাটেল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এফবিআইর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা শুধু গোয়েন্দাগিরিতে ব্যস্ত থাকে। আমি এই বিষয়টা পরিবর্তন করতে চাই। আমি এফবিআইর হুভার ভবনটি বন্ধ করে দেব এবং পরের দিন এটিকে যাদুঘর হিসেবে নতুন করে উদ্বোধন করব।'
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেই বিল্ডিংয়ে কাজ করা সাত হাজার কর্মচারীকে বের করে এনে তাদেরকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে মোতায়েন করব, যাতে তারা অপরাধীদের পিছে ধাওয়া করতে পারেন। আপনারাও এক ধরনের পুলিশ। পুলিশের মতো আচরণ করুন। পুলিশের দায়িত্ব পালন করুন।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি
এফবিআইর বর্তমান পরিচালক ক্রিস্টোফারের চাকরির মেয়াদ ২০২৭ পর্যন্ত বহাল থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে ট্রাম্প থাকে সরিয়ে দেবেন।
১৯৮০ সালে নিউইয়র্কে কাশ প্যাটেলের জন্ম। বেড়ে উঠেছেন গার্ডেন সিটিতে। তার প্রকৃত নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তার বাবা-মা দুজনই গুজরাটি। তারা থাকতেন কানাডায়, পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
এর আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী তুলসী গ্যাবার্ডকে আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক এজেন্সি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের (এনআইএইচ) প্রধান হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক জয় ভট্টাচার্যকে মনোনীত করেন ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। এরপর দায়িত্ব বুঝে নেবেন তার মনোনীতরাও।
]]>