শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এই কথা জানান তিনি।
পোস্টে উপ-প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে, গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে। প্রবেশাধিকার সীমিত করার এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাময়িক।’
‘কেবল সচিবালয়ের ক্ষেত্রে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাস ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিগগির বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে,’ যোগ করেন আজাদ মজুমদার।
তিনি আরও লিখেন, ‘এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। সরকারের সবশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারও শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এজন্যই সবার সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকসহ বেসরকারি সবার সচিবালয়ে 'প্রবেশ পাস' বাতিল
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রের একটা বিপর্যয় হয়েছে এটা মানতে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয় উল্লেখ করে উপ-প্রেস সচিব লিখেন, ‘এজন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে একসঙ্গে কোনো ঘটনার তদন্ত করা হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলেই এই ধরনের কমিটি করা হয়েছে।’
‘সাংবাদিকদের দূরে রেখে তদন্ত কাজ চালানো হবে বলে যারা আবোল তাবোল বকছেন এরা মারাত্মক ভুলে রয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগতিা করবেন,’ যোগ করেন আজাদ মুজমদার।
গত শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর স্বাক্ষরতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা প্রবেশ পাস ছাড়া সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডসহ বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য সব ধরনের অস্থায়ী ‘প্রবেশ পাস’ বাতিলের কথা জানানো হয়।
]]>