বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্কটিক দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে আগামী ১১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এবারের নির্বাচনে ডেনমার্ক থেকে দ্বীপটির স্বাধীনতা প্রাপ্তির বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত গুরুত্বের কারণে ডেনমার্কের উচিত দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ছেড়ে দেয়া। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে নতুন করে গতি পেয়েছে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলন ইস্যুটি। ডেনমার্কের সঙ্গে আলোচনায় বসে নিজদের অবস্থান তুলে ধরার কথা জানায় দ্বীপটির প্রধান স্বাধীনতাপন্থি দল নালেরাক।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব ‘রসিকতা নয়’: মার্কো রুবিও
নালেরাক দলের প্রার্থী জুনো বার্থেলসেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ২০০৯ সালের একটি আইনের ধারা কার্যকর করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি। এই আইনে গ্রিনল্যান্ডের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনার অধিকার রয়েছে। একবার এই ধারা কার্যকর হলে ডেনমার্কের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে গ্রিনল্যান্ড। গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন রাষ্ট্র হলে নালেরাক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির পরিকল্পনা করবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডের ৩১ আসনের মধ্যে পাঁচটি আসন রয়েছে নালেরাকের। তারা কোপেনহেগেনের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে আগামী চার বছরের মধ্যে একটি গণভোটের আয়োজন করতে চায়। তবে ট্রাম্পের মন্তব্যে কোপেনহেগেনে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড মার্কিন নিয়ন্ত্রণে যাবে বলে আশা ট্রাম্পের
দেশটির প্রশাসন স্বীকার করেছে তারা দীর্ঘদিন ধরে গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষার বিষয়ে অবহেলা করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গেল সপ্তাহে ডেনমার্কের আইনপ্রণেতারা গ্রিনল্যান্ডে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিতে রাজি হন।
গ্রিনল্যান্ড ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৭৯ সালে এর পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে দ্বীপটি।
]]>