ট্রাম্পের অভিষেকের পর বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন এবং সহযোগিতার প্রত্যাশা

৬ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা সোমবার (২০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতার সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেন্সকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে “দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ” বলে বর্ণনা করে বলেন, “তিনি যে শক্তির মাধ্যমে শান্তির নীতি ঘোষণা করেছেন, সেটা আমেরিকান নেতৃত্ব শক্তিশালী করার এবং দীর্ঘস্থায়ী এবং ন্যায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও স্থায়ী শান্তির কথা বলেন। ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে পুতিন বলেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সাথে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। “আমি জোড় দিয়ে বলতে চাই যে, ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি লক্ষ্য হওয়া উচিত না ... কিন্তু সকল জনগণের ন্যায্য স্বার্থের উপর ভিত্তি করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা,” তিনি বলেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন যে, দু’দেশ পুনরায় একসাথে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে। “আমাদের মিত্রতার সেরা দিন এখনো সামনে আছে,” তিনি বলেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, “আমরা দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে আপনার সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও যোগ করেন যে, এর অর্থ হলো, “আমাদের অঞ্চলে এবং বিশ্বে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্র নিরাপত্তা এবং শান্তিতে পাশাপাশি থাকবে।” ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওরজিও মেলোনি, যিনি ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমাদের দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং যে মূল্যবোধ আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে, তা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালির মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে, এক সাথে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং আমাদের জনগণের জন্য নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি গড়ে তুলতে।” যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ প্রতিবেশী মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেন, “প্রতিবেশী এবং বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে, সম্মান এবং সহযোগিতা সব সময় আমাদের সম্পর্কের প্রতীক হবে।” ট্রাম্প তাঁর অভিষেক ভাষণে অঙ্গীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল “ফেরত নিবে”। পানামা ট্রাম্পের কথায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ যা আটলান্টিক এবং প্যাসিফিক মহাসাগর যোগ করে, তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পকে “প্রিয় বন্ধু” হিসেবে সম্বোধন করে বলেন, “আমি আপনার সাথে পুনরায় কাছ থেকে কাজ করার অপেক্ষায় আছি, যেটা আমাদের দু’দেশের কল্যাণে আসবে, এবং বিশ্বের জন্য ভাল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে।” ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডের লেয়েন এক্স-এ লেখেন, “ইইউ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনার সাথে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছে। এক সাথে, আমাদের সমাজ আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে এবং নিরাপত্তা জোরদার করবে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুমকি দেয়ার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন যে, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক “বিশ্বের সেরা।” তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।” জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শল্টজ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ভাল আন্তঃআটলান্টিক সম্পর্ক সবসময় আমাদের লক্ষ্য।” ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা বলেন, “আমি আশা করি ট্রাম্পের প্রশাসন সফল হবে এবং আমেরিকানরা ব্রাজিলের পার্টনার হিসেবে থাকবে।”
সম্পূর্ণ পড়ুন