মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফরাসি টেলিভিশন বিএফএমটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু করতে পারেন শুধুমাত্র একজন, আর তিনি হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখছি, যিনি সক্রিয় হয়েছেন এবং আজ সকালে সাধারণ পরিষদে বলেছেন, ‘আমি শান্তি চাই, আমি এই সংঘাতের সমাধান করব।’ তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার চাইছেন। কিন্তু এই পুরস্কার পাওয়া সম্ভব হবে কেবল তখনই, যদি গাজা যুদ্ধ তিনি বন্ধ করতে পারেন’।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আপনাকে ইসরাইলি সরকারকে চাপ দিতে হবে যাতে গাজা সংঘাত বন্ধ করে দেয়, যাতে আমরা অবশেষে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে পারি।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কারণে থামানো হলো ম্যাক্রোঁর গাড়িবহর, নেমে করলেন ফোন (ভিডিও)
ম্যাক্রোঁ স্বীকার করেছেন, ফ্রান্স জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলেও ট্রাম্প ও ইসরাইল এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, ইসরাইলের ওপর চাপ দেয়ার আসল ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরাইলকে এমন কোনো অস্ত্র দিই না যা গাজা যুদ্ধ চালাতে সহায়তা করে। তাই ট্রাম্প আমাদের চেয়ে বেশি কিছু করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: আমাদের অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প
তিনি আরও জানান, সত্যিকার অর্থে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সেদিনই প্রতিষ্ঠিত হবে ‘যেদিন ইসরাইল তাকে স্বীকৃতি দেবে’।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইসরাইল কড়া প্রতিক্রিয়া নেয়ার শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জেরুজালেমে ফরাসি কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়া বা পশ্চিম তীরে নতুন এলাকা দখল করা।
এ প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। সব ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। ফ্রান্সের স্বার্থ রক্ষায় আমরা কখনোই নিষ্ক্রিয় থাকব না।’
]]>