বাউমগার্টনার এনডিটিভিকে জানান, আমরা জানি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একজন ‘ডিলমেকার’ এবং ভারতের প্রতি তার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। কয়েক বছর আগে তিনি তার ভারত সফরও খুব উপভোগ করেছিলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে সম্পর্ককে মূল্য দেন। আমরা আশাবাদী যে এটি সমাধান হবে। পথে কিছু বাধা আসতে পারে, তবে এটি একটি সফল পরিণতিতে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন:পেন্টাগন গোয়েন্দা প্রধানসহ ৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করল ট্রাম্প প্রশাসন
বাউমগার্টনারের মতে, ভারতের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ থেকে বোঝা যায়, কখনও কখনও বন্ধুদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু চাইতে হয়।
কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় মাঝে মাঝে আপনার বন্ধুদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু চাওয়া উচিত, এবং আমি মনে করি এটিকে ভারতের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে দেখা প্রয়োজন। আমি বুঝতে পারি যে ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি দেখলে হতাশা থাকতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্র কী অর্জন করার চেষ্টা করছে এবং ট্রাম্প কী অর্জন করার চেষ্টা করছেন তা দেখুন। তাই আমি আপনার নেতাদের কাছে যে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি, তা হল আমাদের দুই দেশের মধ্যে মৌলিক বিষয়গুলো খুবই শক্তিশালী।’
রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা এবং পাকিস্তানের সাথে তাদের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় নয়াদিল্লি ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার ভূমিকা অস্বীকার করার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। ভারতীয় রপ্তানির উপর মার্কিন শুল্ক এখন ৫০ শতাংশের উপরে।
দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আরও বলতে গিয়ে বাউমগার্টনার বলেন, রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা ভারতীয় এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা পোষণ করেন।
এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসম্যান ভারতীয়দের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা জটিলতার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
বলেন, আমি মনে করি আমরা শিক্ষাগত স্তরে আরও বেশি অংশগ্রহণ দেখতে চাই, আরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে আসুক। কিন্তু এই মুহূর্তে, নতুন ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে ভিসা নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে অন্যভাবে দেখলে দেখা যাবে, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে এবং কীভাবে তারা এখানে দক্ষতার ছাপ রেখেছে সেটি আরেকটি শক্তিশালী বিষয়।
সূত্র:এনডিটিভি
]]>