প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়াদের সবাই কোনো না কোনোভাবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা বা ট্রাম্পের সংগঠনগুলোতে আর্থিক তহবিল গঠন করেছেন। তাদের মধ্যে শুরুতেই আছেন ইলন মাস্ক। তিনি ২৬২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে পেয়েছেন সরকারি দক্ষতা বিভাগের দায়িত্ব।
এছাড়া ২১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন লিন্ডা ম্যাকমোহান, ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বানিজ্য মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন হাওয়ার্ড লাটনিক। ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওয়ারেন স্টিফেনস। আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।
আরও পড়ুন: অভিবাসী ফেরত না নিলে সম্পর্ক ছিন্নের হুমকি ট্রাম্পের
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ন পদে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক তহবিল দানকারীরা সরাসরি অংশ নিয়ে নীতি নির্ধারণ করতে পারবেন।
এদিকে গেল মার্চ মাসে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক সাক্ষাতকারে সাউথ ক্যারোলাইনার আইনপ্রনেতা ন্যান্সি মেইসের সঙ্গে আলোচনাকালীন উপস্থাপক জর্জ স্টেফানোপলস দশ বারেরও বেশি ট্রাম্পকে ধর্ষক বলে আখ্যা দিয়েছেন। এরপর এবিসি নিউজ ও অনুষ্ঠানটির উপস্থাপকের নামে মানহানির মামলা করা হয় ট্রাম্পের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় বসেই ১৮ হাজার ভারতীয়কে তাড়াবেন ট্রাম্প
আর তাতেই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড মিউজিয়ামকে দেড় কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়েছে এবিসি নিউজ। এছাড়া ট্রাম্পের আইনজীবীদের ১ কোটি ডলার ফিও পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে এবিসি নিউজ কর্তৃপক্ষ ও উপস্থাপক জর্জ স্টেফানোপলস ক্ষমা চাইবেন ট্রাম্পের কাছে। তার এমন শর্তে সংবাদমাধ্যমটি পুরোপুরি সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
]]>