বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে মাছ শিকার করতে গিয়ে দুটি ট্রলারের একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা ধাওয়া করে উভয় ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
‘আমার ঘাটের দুটি ট্রলার সাগরে যায়। সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে পৌঁছালে আরাকান আর্মি ধাওয়া দিয়ে ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যায়। এতে জেলে ও ট্রলার মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে’, বলেন সাজেদ আহমেদ।
একটি ট্রলারের মালিক শনাক্ত করা গেলেও অন্যটির মালিকের পরিচয় জানতে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসছিল ট্রলার, ২৪ জেলে উদ্ধার
এদিকে, মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত আরাকান আর্মি প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে মুক্তি দিয়েছে। তবে জলসীমা লঙ্ঘনের কারণে ফের অভিযান চালানো হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেছে।
ট্রলার মালিক মো. সৈয়দ আলম বলেন,
আরাকান আর্মির কারণে নাফ নদী ও সাগরে মাছ ধরা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ট্রলার ও জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আজকেও ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে দুটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে তারা। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে জেলে ও ট্রলার মালিকদের সামনে কঠিন সময় নেমে আসবে।
এ বিষয়ে টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।’
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·