টেস্টের রজতজয়ন্তীতে খুলনায় উৎসবমুখর দিন

১ সপ্তাহে আগে
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে খুলনায় অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী উৎসবমুখর আয়োজন। শনিবার (২১ জুন) খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম পরিণত হয় ক্রীড়াপ্রেমী শিশু-কিশোর আর দর্শনার্থীদের প্রাণবন্ত মিলনমেলায়। আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতেই এ ব্যতিক্রমী কর্মসূচির আয়োজন করে।

স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় সকাল থেকেই নেমে আসে শিশুকণ্ঠের উচ্ছ্বাস আর বল-ব্যাটের শব্দ। অনূর্ধ্ব-১২ ছেলে ও মেয়েদের সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট প্রতিযোগিতাই ছিল পুরো আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু। খুলনার বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত ক্ষুদে ক্রিকেটাররা অংশ নেয় ম্যাচগুলোতে। শিশুরা খেলায় মেতে ওঠার পাশাপাশি অংশ নেয় ‘পেসার হান্ট’ কার্যক্রমে। যেখানে মাপা হয় তাদের বোলিংয়ের গতি। কেউ কেউ সোজা চলে যায় কমেন্ট্রি বুথে, ঐতিহাসিক টেস্ট মুহূর্ত দেখে সরাসরি ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিতে। ছিল ‘গুড লাক’ উইশ বোর্ডও, যেখানে লেখা হয়েছে শতশত স্বপ্ন আর শুভেচ্ছা।


দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিশুদের চোখেমুখে ছিল প্রাণচাঞ্চল্য আর স্বপ্নের ঝিলিক। খুলনার এক স্কুলপড়ুয়া ক্ষুদে ক্রিকেটার রাহাতুল বলে, ‘আমি বড় হয়ে জাতীয় দলে খেলতে চাই, বিশেষ করে টেস্টে। সাদা পোশাকে খেলাটা স্বপ্ন। আমার আইডল হলেন মুশফিকুর রহিম। আমি তার মতো ক্রিকেটার হতে চাই।’ ফাহমিদ হোসেন নামে আরেক ক্ষুদে ক্রিকেটার জানায়, ‘পেসার হান্টে নিজের বলের গতি দেখে ভালো লেগেছে। আমি এখন আরও অনুশীলন করতে চাই। ভবিষ্যতে আমি বাংলাদেশের হয়ে এক নম্বর পেস বোলার হতে চাই।’


আরও পড়ুন: গল টেস্টে ড্র মেনে নিল দুদল


অনুষ্ঠানে টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ পথচলার হিসাবটাও উঠে আসে আলাপ-আলোচনায়। ১৫৩ ম্যাচে মাত্র ২৩ জয় আর ১১১ হার। এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে হতাশার। বিসিবির সহ-সভাপতি নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, টেস্ট ফরম্যাটকে দেশের ক্রিকেট কাঠামোয় তেমন গুরুত্ব না দেওয়ার খেসারতই বারবার দিতে হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিসিবি লংগার ভার্সনকে শক্ত ভিত দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।


জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তুষার ইমরান জানান, ‘শুরুটা কঠিন ছিল, এখনও টেস্টে আমাদের পথ চলা সংগ্রামের, তবে উন্নতির সম্ভাবনা প্রবল।’ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, ‘মেয়েরা টেস্ট মর্যাদা পেলেও আমরা এখনো কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলিনি। তৃণমূল পর্যায়ে পরিকল্পনার ঘাটতিই বড় কারণ।’’


উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে তিনি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ঘোষণা করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন