'টেস্ট স্পেশালিস্ট' তকমায় আক্ষেপ সাদমানের

১ দিন আগে
বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় সাদমান ইসলাম। গত দুই বছরের পারফরম্যান্সে তাকে এখন এই ফরম্যাটের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে শুধু 'টেস্ট স্পেশালিস্ট' তকমায় আপত্তি আছে সাদমানের। অন্য ফরম্যাটে ভালো খেলার পরেও বিবেচনায় না রাখায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন এই ব্যাটার।

এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলছেন সাদমান। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেট ডিভিশনের বিপক্ষে ম্যাচে ৩২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। চারটি চার ও ২ ছক্কার ওই ইনিংসে দলের জয়ের ভিত্তিও গড়ে দিয়েছেন তিনি। এমন ইনিংসের পরেও আক্ষেও ঝড়ল এই ক্রিকেটারের কণ্ঠে।


ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে সাদমান বলেন, 'প্রমাণ করার তো ভাই কিছু নাই। কারণ প্রিমিয়ার লিগেও তো সবাই ভালো খেলতেছে। প্রত্যেক বছর তো প্রিমিয়ার লিগেও পারফর্ম করে আসতেছি বা টি-টোয়েন্টিতে হয়তোবা সুযোগ কম আসে বা যখন আসে ট্রাই করি ভালো করার। তারপরেও তো মানে নামটা তো টেস্টেই থেকে যায়। এটাই আক্ষেপ, আর কিছু নাই।'


সাদমানের এমন আক্ষেপ অবশ্য অস্বাভাবিক না। গত ৪-৫ বছর ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আন্তর্জাতিক সার্কিটে আছেন সাদমান। টেস্টে অনেকবার নিজেকে প্রমাণও করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত অন্য কোনো ফরম্যাটে ডাক পাননি। ঘরোয়া লিগেও অন্যান্য ফরম্যাটে তিনি থাকেন সেকেন্ড চয়েজ হিসেবে।


আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের দাবি, ট্রফি নিয়ে পালিয়েছেন নাকভি


বিপিএলে এখন পর্যন্ত চার আসর মিলিয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন সাদমান। সবগুলো আসরে ডাকও পাননি। তবে পারফরম্যান্সও যে তার পক্ষে কথা বলছে, এমন না। ৯ ইনিংসে মোট ১৫১ রান করেছেন তিনি।


তবে বিপিএলে খেলতে না পারার আফসোসটা যে ভালোভাবেই আছে সাদমানের, সেটা বোঝা গেছে এই বক্তব্যে, 'টেস্টে তো আছি ২০১৮ সালের পর থেকে। তারপর তো বিপিএলে মনে হয় দুইবার কি তিনবার খেলা হয়েছে। তারপর তো আজকে চার-পাঁচ বছর ধরে বিপিএলেও খেলা হয় না বা ওরকম আপনার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও হয় না। বা বিপিএল, আপনার ডিপিএল যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থাকলেও ওরকম হয়তোবা মানে ম্যাচ খেললেও জিনিসটা বা পারফর্ম করলেও জিনিসটা কাছে আসে না বা ওরকম হাইলাইট হয় না। যার কারণে এই।'


তিনি আরও বলেন, 'আমি অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ার্ল্ড কাপ খেলছি, ২০১৪-এ, ওইখানে তো হাইয়েস্ট রান গেটার ছিলাম। তো তখন থেকে যে লাল বলে বিবেচনায় ঢুকে গেছি, তারপর প্রিমিয়ার লিগে তো পারফর্ম করেই আসতেছি, কিন্তু শুধু লাল বলেই খেলা হচ্ছে। যার কারণে আর মানে ওই জায়গার পারফরম্যান্সটা তো আমি মনে করি না যে ওটা কোনো কাজে আসে। তো শুধু শুধু আপনার চেষ্টা করি সবসময় যাতে সাদা বলে যখনই সুযোগ আসে ভালো খেলার।'


আক্ষেপ থাকলেও পারফর্ম করেই নিজেকে প্রমাণ করতে চান সাদমান, 'আমার কাজ পারফর্ম করা। এখন বাকিটা অফিসিয়াল বা যারা বিপিএল টিম করে। কিন্তু জাস্ট আমার কাজ পারফর্ম করা, আমি পারফর্ম করে যাব। আক্ষেপ তো অবশ্যই, আপনার তো আজকে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর ধরে বিপিএল ওরকম খেলা হয় না। তো চেষ্টা, অবশ্যই তো আক্ষেপ থাকে। কারণ সবাই খেলে, ওই টাইমে প্র্যাকটিসেরও ফ্যাসিলিটিজ ওরকম থাকে না। তো ওইটা তো একটা বড় আক্ষেপই।'


আরও পড়ুন: পাকিস্তানিদের বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার রাস্তা বন্ধ করল পিসিবি


সূর্যকুমার আবারও জোর দিয়ে বলেন, 'প্রথমেই বলে দিই, সরকার বা বোর্ড আমাদের কখনো বলেনি যে, কেউ ট্রফি দিলে তা নেব না। এটা ছিল আমাদের মাঠে নেওয়া সিদ্ধান্ত। তারা (ACC কর্মকর্তারা) মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন, আমরা নিচে ছিলাম। আমি দেখলাম তারা নিজেদের মধ্যে কিছু আলোচনা করছে। তারপর দর্শকদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ বাঁশি বাজাতে শুরু করল। আর তার পরই আমরা দেখলাম তাদের প্রতিনিধি ট্রফি নিয়ে দৌড়ে চলে গেলেন।'


এভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মোহসিন নকভি ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের পর ট্রফি নিজের হোটেল রুমে নিয়ে চলে যাওয়ায় বৈশ্বিক ক্রিকেট অঙ্গন স্তম্ভিত হয়ে যায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন