টেস্ট ইতিহাসে কোন দেশের কোন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ কত?

৪ সপ্তাহ আগে
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটা খেলেছিলেন ব্রায়ান লারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই গ্রেট এক ইনিংসে করেছিলেন ৪০০ রান। সেই রেকর্ডটা কী কেউ ভাঙতে পারবেন? হ্যাঁ, আর একটু হলেই তার সেই রেকর্ড প্রায় ভেঙেই ফেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার উইয়ান মুল্ডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি করেন অপরাজিত ৩৬৭ রান।

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছেন মুল্ডার! বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে তার খেলা দেখে ঠিক এমনটাই মনে হচ্ছিল। তবে ইনিংস ঘোষণা না করলে তিনি যে এই রেকর্ডটা ঠিকই ভেঙে দিতেন, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। 

 

বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৩৬৭ রানে অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। তবে সব উত্তেজনায় জল ঢেলে দিলেন মুল্ডার নিজেই। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনে মুল্ডারকে নয়, ব্যাটিংয়ে নামতে দেখা গেল জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারকে। নিজেকে ৩৬৭ রানে থামিয়েই যে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছেন মুল্ডার।

 

সবচেয়ে বড় রেকর্ড তাতে বেঁচে গেল। তবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই ৩৩৪ বল অপরাজিত ৩৬৭ রান করার পথে আরও অনেক রেকর্ডই ভেঙেছেন ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। 

 

মুল্ডারের এই ইনিংস টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড হাশিম আমলার, ২০১২ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৩১১। শুধু তাই নয়, টেস্টে দেশের বাইরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এটি। আগের রেকর্ড পাকিস্তানের হানিফ মোহাম্মদের। ১৯৫৮ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৩৭ রান করেছিলেন তিনি। 

 

আরও পড়ুন: সুযোগ পেয়েও লারাকে তাড়া করলেন না মুল্ডার

 

মুল্ডারের ৩৬৭ টেস্টে আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। আফ্রিকায় আগের সর্বোচ্চ ২৭৫ রান, ১৯৯৯ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন।

 

টেস্ট ক্রিকেটে কোন দেশের কোন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রান কত, সেটিই তুলে ধরা হলো প্রতিবেদনের বাকি অংশে।  

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা খেলেছিলেন ব্রায়ান লারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮২ বলে করেছিলেন ৪০০ রান। ম্যাচটি অবশ্য ড্র হয়েছিলো। 

 

অস্ট্রেলিয়া: ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৮০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাথিউ হেইডেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এটিই কোনো ব্যাটসম্যানের টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। অস্ট্রেলিয়া সে ম্যাচ জিতেছিলো ইনিংস ও ১৭৫ রানের ব্যবধানে। 

 

শ্রীলঙ্কা: কলম্বোতে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। সে ম্যাচে কুমার সাঙ্কাকারাও করেছিলেন ২৮৭ রান। তবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মাহেলার। 

 

দক্ষিণ আফ্রিকা: বুলাওয়েতে সোমবার (৭ জুলাই) ৩৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন উইয়ান মুল্ডার। এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

 

ইংল্যান্ড: ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিওনার্ড হাটন। সেটিই এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

 

আরও পড়ুন: আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে মারক্রাম-রাবাদার সঙ্গে নিসাঙ্কা

 

পাকিস্তান: ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৭ রান করেছিলেন হানিফ মোহাম্মদ। পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে এই ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

 

ভারত: দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি বীরেন্দ্র শেবাগের। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার।   

 

নিউজিল্যান্ড: ২০১৪ সালে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০২ রানের ইনিংস খেলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

 

জিম্বাবুয়ে: ১৯৯৪ সালে বুলাওয়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৬৬ রান করেছিলেন ডেভ হটন। দেশটির ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত হটনের ২৬৬ রানের ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। 

 

আফগানিস্তান: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪৬ রান করেছিলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। গত বছরের ডিসেম্বরে বুলাওয়েতে তিনি এই ইনিংসটি খেলেছিলেন। আর এটিই আফগানিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

 

বাংলাদেশ: বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি মুশফিকুর রহিমের দখলে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে ২১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। সে ম্যাচে মুমিনুলও খেলেছিলেন ১৬১ রানের ইনিংস। 

 

আয়ারল্যান্ড: আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি কেভিন ও’ব্রায়ানের। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই আইরিশ ব্যাটার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন