জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন ইসমত আলম। আফগানিস্তানের প্রথম ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। আফগানিস্তানের প্রথম হলেও টেস্ট ইতিহাসে অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া ১১৫তম ক্রিকেটার তিনি।
এদিকে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়ে বিরল এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন ইসমত। অভিষেক টেস্টে যে ১১৫ জন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করেছেন, তার মধ্যে মাত্র তিন জন ক্রিকেটার প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান শিবিরে দুশ্চিন্তা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনিশ্চিত সাইম
১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে প্রথম এই অভিজ্ঞতা হয় ভারতের গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন এই ভারতীয়।
১৯৯৬ সালে এমন অভিজ্ঞতা দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম। লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এরপর এই তালিকায় তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখালেন আফগানিস্তানের ইসমত আলম।
অভিষেকে টেস্টে আরও দুই ক্রিকেটার আছেন, যারা সেঞ্চুরি ও শূন্যের স্বাদ পেয়েছেন একই ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু হাডসন ও ইংল্যান্ডের কিটন জেনিংসের অভিজ্ঞতা অবশ্য উল্টো। দুজনই প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন যারা
১৯৯২ সালে ব্রিজটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যাবর্তন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করেন হাডসন, দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন শূন্য রানে। মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২০১৬ সালে প্রথম ইনিংসে ১১২ রান করেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার জেনিংস, পরের ইনিংসে শূন্য রানেই আউট হন।
বুলাওয়েতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ইসমতের সেঞ্চুরির দিনে ৩৬৩ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। আর তাতে স্বাগতিকদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৮ রানের।
]]>