এ নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও সম্প্রতি এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন বিরাট কোহলি। যুবরাজ সিংয়ের এনজিওর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মজার একটি মন্তব্যও করেছেন কোহলি।
কোহলি বলেছেন, ‘সবে দু-দিন আগে আমি আমার দাড়ি রঙ করেছি। নিজের দাড়ি ৪দিন পরপর রঙ করতে হলে বুঝে যেতে হবে সরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।’
লন্ডনে যুবরাজ সিংয়ের আয়োজিত গালা ডিনারে ভারতের অনেক সাবেক ক্রিকেটাররা একত্রিত হয়েছিলেন। গৌতম গম্ভীরসহ গোটা ভারতীয় দল উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, ক্রিস গেইল, কেভিন পিটারসন, আশিস নেহরার মতো ক্রিকেটাররাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আরও পড়ুন: স্কটল্যান্ডকে হারানো ইতালি ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে একধাপ দূরে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মজার কিছু খেলায়ও অংশ নেন তরা। হঠাৎই জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বিরাট কোহলি। সেখানে পিটারসনের সঙ্গে গল্প করছেন তিনি। এরপর গৌরব কাপুরের সঙ্গে হালকা মেজাজেই আলোচনায় অংশ নেন রবি শাস্ত্রী, যুবরাজ সিং, ক্রিস গেইল এবং ড্যারেন গফ।
কোহলিকে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব মিস করছেন, এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা মজা করেই জবাব দেন কোহলি। প্রথমে তিনি মঞ্চে ছিলেন না। গৌরবের অনুরোধে পরে মঞ্চে ওঠেন তিনি। পাশে বসে ছিলেন ভারতের সাবেক কোচ রবী শাস্ত্রী। পরে একে অপরের বেশ প্রশংসাও করেন।
এ সময় সাবেক কোচ রবী শাস্ত্রীর সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন কোহলি। ‘সত্যি বলতে, আমি ওনার (শাস্ত্রী) সঙ্গে কাজ না করলে, টেস্টে যত সাফল্য পেয়েছি সেটা সম্ভব হতো না। আমাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ছিলো, সেটা সবার মধ্যে থাকে না। যা ক্রিকেটারদের উন্নতি করতে সাহায্য করে।’
আরও পড়ুন: গিলকে থামাতে ইংলিশদের বিশেষ পরিকল্পনা
কোহলি আরও বলেন, ‘সবসময় উনি আমাকে সাহায্য করেছেন। একাধিক সাংবাদিক সম্মেলনে আমার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমার ক্রিকেট জীবনের একটা বড় একটা অংশ হওয়ার জন্য আমি সবসময় ওনাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি।’
যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গেও কোহলির সম্পর্ক বেশ ভালো। ২০১১ বিশ্বকাপে তাদের আলাপ হওয়ার পর মাঠ এবং মাঠের বাইরে অনেক সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষীও হয়েছেন তারা দুজনে। যুবরাজের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়েও কথা বলেছেন বিরাট।
‘মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। উত্তর অঞ্চলের একটি টুর্নামেন্টে তার (যুবরাজ) সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। যখন আমি ভারতের হয়ে খেলা শুরু করি, তখন তিনি, ভাজ্জু পা (হরভজন) এবং জহির খান আমাকে তাদের তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন। এবং আমাকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে তারা সাহায্য করেছেন।’
]]>