শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে তাদের ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী।
অপহৃতরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)।
আরও পড়ুন: লামায় অপহৃত ৭ শ্রমিককে মুক্তি দিল সন্ত্রাসীরা
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী জানান, অপহরণের পর বুধবার রাতেই স্বজনদের কাছে মুক্তিপণের জন্য ফোন দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হলেও পরে আলোচনার মাধ্যমে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকায় সমঝোতা হয়। মুক্তিপণ দেয়ার পরই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে মুক্তিপণের অর্থ কীভাবে এবং কার মাধ্যমে পৌঁছানো হয়েছে, তা স্বজনরা জানাতে চাননি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ পাহাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। তবে স্বজনরা মুক্তিপণ দেয়ার বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য জানায়নি। তিনি বলেন, ‘অপহৃতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্যা পাড়া থেকে ১৫ জন স্থানীয় লোক কাঠ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পাহাড়ে যান। স্থানীয় চাকমাপাড়া সংলগ্ন পূর্ব পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তাদের জিম্মি করে। পরে পাঁচজনকে আটক রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।
]]>