মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে চারজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কয়েকটি বস্তা নিয়ে ওই এলাকার বিপরীতে পাহাড়ের দিকে উঠতে দেখা যায়। অভিযানিক দল তাদের থামার নির্দেশ দিলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় যৌথবাহিনী তাদের থামাতে সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অভিযুক্তরা তাদের সঙ্গে থাকা দুটি অস্ত্র ও গোলাবারুদের বস্তা ফেলে পাহাড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি জি-৩ ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেফতার ১১
তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি, কারণ অস্ত্র পাচারকারীরা ফাঁকা গুলির পরপরই পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। জব্দকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য আলামতের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, 'দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী অঞ্চলে পাচার রোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'