মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া পাহাড়ে ছেড়ে দেয়ার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত মোহাম্মদ শাকের টেকনাফ হোয়াইক্যং মিনা বাজার ঘোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বের হলে ওই বৃদ্ধকে অপহরণ করা হয়।
এ বিষয়ে উদ্ধার হওয়া ওই বৃদ্ধের সন্তান চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবা সোমবার ফজরের নামাজ পড়তে এলাকার মসজিদে যান। নামাজে গিয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু কোথাও না পেয়ে আমরা অনেক ভয়ের মধ্যে ছিলাম।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে অপহরণ চক্রের সেই ‘বদরুজ’ অস্ত্রসহ গ্রেফতার
তিনি আরও বলেন, রাতে আমার আম্মুর মোবাইল ফোনে কল করে অপহরণের কথা বলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন দুর্বৃত্তরা। অপহরণের বিষয়ে আমার মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আমার বৃদ্ধ বাবাকে উদ্ধারের জন্য আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সহযোগিতা চাই। পরে মঙ্গলবার বাবাকে পাহাড়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে ঘরে আনা হয়েছে। তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কোনো প্রকার মুক্তিপণ দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে অপহরণ চক্র, উৎস অনুসন্ধানে পুলিশ!
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি আমিও শুনেছি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকার এক পর্যায়ে অপহৃতকে ছেড়ে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।