২০২২ সালে কংগ্রেসে ব্যাপক সমর্থন পেয়ে পাস হয় আইনটি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা অনুমোদন করেন।
আইন অনুযায়ী, আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো মার্কিন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে হবে, অন্যথায় দেশটিতে অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
তবে আইনটি স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তি দেন, আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বিষয়ে একটা ‘রাজনৈতিক সমাধানে’ পৌঁছাতে তাকে সময় দেয়া উচিত।
তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের অনুরোধ রাখেননি। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন যে, গত বছর কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত আইনটি সংবিধান লঙ্ঘন করেনি।
আরও পড়ুন: টিকটক নিষিদ্ধের আইন স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টকে ট্রাম্পের অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে আদালত জানায়, চীন দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টিকটক ও বাইটড্যান্সের চ্যালেঞ্জের মুখে ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতের রায়ও আইনটির পক্ষে ছিল।
এদিকে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে জানিয়েছেন, আইন কার্যকরের বিষয়ে পরবর্তী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
রিপাবলিকান নেতা মাইক ওয়াল্টজ বলেছেন, টিকটক নিষিদ্ধ না করে বিক্রির চুক্তির জন্য অতিরিক্ত সময় দেয়া হতে পারে। তবে নতুন প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টিকটক পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: টিকটকে পরিচয়ে প্রেমের টানে অজানায় কিশোরী
টিকটক বলেছে, যদি বিক্রির শেষ সময়সীমা বাড়ানো না হয় অ্যাপটি রোববার থেকে বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গুগল, অ্যাপলসহ টিকটকের সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর ভূমিকা অনিশ্চিত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপসগুলোর মধ্যে অন্যতম টিকটক। চীনা কোম্পানির তৈরি এই অ্যাপস পশ্চিমা দেশগুলোতেও সমান জনপ্রিয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ডাউনলোড হওয়া অ্যাপসগুলোর মধ্যে অন্যতম টিকটক। দেশটিতে টিকটকের ১৭ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন।
]]>