টার্গেট করা ছাত্রীদের আলাদা ঘরে রাখতেন ‘দিল্লি বাবা’!

১ সপ্তাহে আগে
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দিল্লির স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী চৈত্রনানন্দ সরস্বতী ওরফে ‘দিল্লি বাবা’ বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তারই প্রতিষ্ঠানে পড়া এক সাবেক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্র জানান, ২০১৬ সালেই এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর অশোভন আচরণ প্রকাশ্যে এসেছিল।

 

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ছাত্রীকে টার্গেট করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়া হতো, তাদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকত এবং তাদের ওপর এক ধরনের ‘বিশেষ নজরদারি’ চালানো হতো।

 

সাবেক এই ছাত্রের দাবি, ওই ছাত্রীদের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া হতো, কখনও কখনও দামি ফোন কিনে দিলেও, কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবে, তা ঠিক করে দিতেন চৈত্রনানন্দ নিজেই।

 

এনডিটিভির সাথে সাক্ষাৎকারে দিল্লির বসন্তকুঞ্জে স্বামী চৈত্রনানন্দ সরস্বতীর শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের সাবেক এই ছাত্র জানান, ২০১৬ সালে তিনি এখানে পড়াশোনা করতেন। তার দাবি, অনেকেই নিজেদের ছেলেমেয়েকে নির্দ্বিধায় এখানে পড়তে পাঠাতেন, কারণ একজন বাবা এটি পরিচালনা করেন। যদিও এলাকার লোকেরাও বাবার ‘কীর্তি’ সম্পর্কে জানত বলেই দাবি করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: সঙ্গ পেতে ৭৫ বছর বয়সে বিয়ে, পরদিনই বরের মৃত্যু

 

এনডিটিভিকে ওই সাবেক শিক্ষার্থী আরও বলেন, কর্মী হোক কিংবা শিক্ষার্থী, সবার সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করতেন বাবা। যা মনে আসত বলে দিতেন। লোককে চাকরি থেকে বের করে দেয়া, বেতন না দেয়া এসব ছিল সাধারণ ব্যপার।

 

তিনি বলেন, ছাত্রীদের সঙ্গে তার আচরণ ছিল পক্ষপাতমূলক। তাদের বিভিন্ন ইভেন্টে ডাকতেন, ক্লাসের নেতৃত্বও তাদেরই দিতেন। ইনস্টিটিউটের আশেপাশে যারা বহুদিন ধরে বাস করছেন, তারাও জানতেন যে এই ব্যক্তি ছাত্রীদের হয়রানি করেন। কিন্তু অভিভাবকেরা তা জানতেন না।

 

আরও পড়ুন: ভারত / চিকিৎসকদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত

 

চৈত্রনানন্দের আসল নাম পার্থসারথি। তিনি ওডিশার বাসিন্দা, তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৭ জন নারীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত রোববার (৩০ অক্টোবর) তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

এনডিটিভি বলছে, চৈত্রনানন্দ এখন পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। পুলিশ তার প্রতিষ্ঠানের তিন নারী সহযোগীর মুখোমুখি তাকে জেরা করবে। এই সহযোগীরা ছাত্রীদের হুমকি দেয়া এবং আপত্তিকর মেসেজ ডিলিট করতে সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন