শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
দারুস সালাম মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন জানান, প্রতিযোগিতায় সাড়া দিয়ে প্রথম দিকে ৩২ জন শিশু-কিশোর নামাজ আদায় শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্বে ২৫ জন শিশু টিকে থেকে বিজয়ী হয়েছে। এমন ধরনের আরও ধর্মীয় প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন বলেন, শিশুদের চরিত্র গঠনে এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের সমাজে যখন মাদকের ছড়াছড়ি তখন নামাজ পড়ার প্রতিযোগিতা একটি প্রশংসনীয় আয়োজন। আমি মনে করি প্রতিযোগী শিশুরা নামাজে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারা কোনো অন্যায় কাজে জড়াতে পারে না।’
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, গ্রামের শিশুরা যাতে মসজিদমুখি হয়, নামাজের গুরুত্ব বুঝে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামসহ সমাজের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে সেজন্য দারুস সালাম জামে মসজিদ কমিটি এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় শর্ত ছিলো স্থানীয় শিশু-কিশোরদের দারুস সালাম জামে মসজিদ কমিটি গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে টানা ৪১ দিন ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করবে। প্রতি ওয়াক্তে ইমাম তাদের হাজিরা গণনা করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে বই উৎসব
পুরস্কারপ্রাপ্ত জুনায়েদ আবু ইফাজ ও মাসুদুল হাসান জানান, ৪১ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এখন মসজিদ ছাড়া নামাজ পড়তে ভালো লাগে না। শুরুতে পুরস্কার আশায় নামাজে আসলেও এখন মন থেকে মসজিদে এসে নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য মসজিদ কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই।
আয়োজনের সমন্বয়ক হাফেজ কুতুব উদ্দীন বলেন, ‘বিজয়ী ২৫ শিশুর মতো সমাজের আরও শিশুদেরকে প্রকৃত নামাজি ও চরিত্র গঠনের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেয়া হবে। এ কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন আল্লাহ যেন সকলের নেক আশা কবুল করেন। সেই দোয়া করি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন, উপজেলা হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুছ, আয়োজনের সমন্বয়ক সাংবাদিক মো. মাসুদ আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলা উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজসেবক মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>