অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, বাড়ির উঠান ও আমন ধানের বীজতলা ডুবে গেছে। সরকারি কলেজ মাঠ, কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মোড়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি জমে সড়কে চলাচল বন্ধ রয়েছে। পৌর এলাকার লামচরী, সমসেরাবাদ, মজুপুরসহ অনেক জায়গায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পুকুর ডুবে মাছও ভেসে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, শহর ও আশপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব ও যত্রতত্র ভরাটের কারণে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার আবিরনগর, লাহারকান্দি, তেওয়ারীগঞ্জ, মৌলিভীরহাট, কমলনগরের তোরাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
রামগতির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন, গত সোমবার (৭ জুলাই) ১৬১ মিলিমিটার, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ১১৫ মিলিমিটার এবং পরের ২৪ ঘণ্টায় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে, তবে ভারী বৃষ্টিপাত কমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি কলেজ এলাকার বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও পর্যাপ্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পানি নিষ্কাশনের সুযোগ নেই। ড্রেনগুলো সময়মতো পরিষ্কার না করার কারণে পানি জমেছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ চরমে
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, 'ওয়াকওয়ে দেবে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। জনসাধারণকে আমরা নিষেধ করেছি, যেন কেউ সেখানে প্রবেশ না করে।'
লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'জলাবদ্ধতার পেছনে মূলত নাগরিকদের অবহেলা দায়ী। তারা যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, খাল দখল ও পুকুর ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করলেও সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই খাল উচ্ছেদ ও পরিষ্কার অভিযানে আমরা এখনও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।'