টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

৪ সপ্তাহ আগে
বাগেরহাটে টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ভারি বর্ষণের ফলে জেলা শহরের খানজাহান আলী রোড, রেলরোড, বাসাবাটি, সাধনার মোড়, পিটিআই মোড়, শালতলা, জেলা হাসপাতাল এলাকা ও পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। 


বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালক, দোকানদার, শিক্ষার্থী ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ।স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পৌরসভার পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেই এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
 

বাগেরহাট শহরের খান জাহান পল্লী এলাকার আল আমিন বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। হালকা বৃষ্টিতেও আমরা ভোগান্তিতে পরি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের ভোগান্তি আরো বেড়েছে। পৌরসভা থেকেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।সাধনা মোর এলাকার মো আলী বলেন, প্রতি বছর আমরা একাধিকবার পানিতে ডুবি। আমাদের শহরে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। শহরের একটি ড্রেনও পানি চলাচলের উপযোগী নেই। রাস্তাগুলোও ভাঙা। বৃষ্টির কারণে ভাঙা রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানির ভিতরে হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বাগেরহাট শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলি

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এর আবহাওয়াবিদ হারুন অর রশিদ জানান, সেমবার (১৪ জুলাই) দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদি এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 

বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হক রিজভী বলেন, এ বর্ষায় বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়েছে। ফলে আগের চেয়েও ১৫ শতাংশ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি কমলে আমরা ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন