স্থানীয়রা জানান, সম্ভবত খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে হনুমানটি। বৃষ্টিতে প্লাবিত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে সে। কখনো গাছের ডালে, কখনো দোকানের চালের ওপর। মানুষের কোলাহলে আতঙ্কিত হয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে যাচ্ছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দেওয়ালে বসে থাকার পর হনুমানটিকে লাফিয়ে যেতে দেখা যায় শহরের সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের একটি দোকানের চালায়। উৎসুক জনতা হনুমানটিকে ঘিরে ভিড় করে। কেউ কেউ তাকে কলা, বিস্কুট, রুটি ইত্যাদি খাবারও দেয়।
উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, 'গত তিন দিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্থানে হনুমানটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। মানুষ ভিড় করলে সে ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।'
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহকারী সোহানুর রহমান সোহান বলেন, 'মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের অফিস চত্বরে বসে থাকতে দেখি হনুমানটিকে। সে আমাদের অফিসের ফুল ও সবজির গাছ কিছুটা নষ্ট করেছে।'
আরও পড়ুন: লোকালয়ে ধূসর রঙের হনুমান
এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া সরকারি তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'সম্ভবত যশোর অঞ্চল থেকে কোনও ফল বা সবজির ট্রাকে করে হনুমানটি লোকালয়ে চলে এসেছে। খাবারের সংকটে এমনটা হতে পারে। প্রাণীটিকে ভয় না দেখিয়ে বরং খাবার দিয়ে সহানুভূতির সঙ্গে দেখা উচিত।'
তিনি আরও বলেন, 'টানা বর্ষণে শুধু মানুষ নয়, বন্যপ্রাণীরাও চরম দুর্ভোগে পড়ছে। পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মানুষের সহানুভূতিশীল আচরণ এখন খুবই জরুরি।'