টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ডুবছে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল, বাঁধে ফাটল

২ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে গত তিনদিনের ভারি বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আর ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। যদিও ফাটল অংশে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তবে বন্যার আশঙ্কায় নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই এবারও বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার নদীপাড়ের কয়েক লাখ মানুষ। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ঘোলা পানিতে সেই শঙ্কা আরও বেড়েছে।

 

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজানের পানিতে এমনিতেই নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এই এবং উজানের পানি নেমে এলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 

সবশেষ মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্যমতে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদীর পানি কিছু কমে গিয়ে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় পানি আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর থেকে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

 

আরও পড়ুন: দেড় ফুট পানির নিচে সড়ক, দুর্ভোগ চরমে

 

গেল বছরের বন্যায় ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর শহর রক্ষা বাঁধ কয়েকটি স্থানে ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শুষ্ক মৌসুমে ভেঙে যাওয়া বাঁধের ওই অংশগুলো পাউবো দায়সারাভাবে মেরামত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

 

এদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। গেল বছর একই এলাকায় বাঁধটি ভেঙে গেলেও সঠিকভাবে মেরামত না করার অভিযোগ স্থানীয়দের। মেরামত করা অংশ মঙ্গলবার সকালে আবার ফাটলের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি করে কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলে পাউবো কর্তৃপক্ষ। নদীর পানি সামান্য বাড়লেই ফাটল ধরা অংশ যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে গিয়ে প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

 

বন্যার আশঙ্কা থাকায় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেন জানান ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন