রাঙামাটি পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হলেও এ পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা।
তিনি বলেন, 'বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে, তবুও অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অনিচ্ছুক। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।'
রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার ক্যা চি নু মারমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি আরও কয়েকদিন চলতে পারে। তবে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, তীব্র বা ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আপাতত নেই।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় বান্দরবান
প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, শহরের বিভিন্ন এলাকায়- বিশেষ করে ভেদভেদি, রিজার্ভবাজার, কাপ্তাই সড়ক ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বসতি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। প্রতিবছর বর্ষায় এমন পরিস্থিতিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, কিন্তু নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান সত্ত্বেও অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে রাজি হন না।