শনিবার (২৭ সেপ্টম্বর) সকালে রাজশাহীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাস না পেয়ে যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, অগ্রিম টিকিট কাটা থাকলেও টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না, এমনকি কোনো বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। ফোন করলেও পরিবহন কর্মকর্তারা সাড়া দিচ্ছেন না। তবে এ রুটে একতা ট্রান্সপোর্টের বাস স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে।
সম্প্রতি শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে কয়েক দফায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংকট নিরসনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মালিক ও শ্রমিক পক্ষের বৈঠকে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীর বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। আলোচনায় নির্ধারিত হয় চালকের বেতন ট্রিপপ্রতি ১ হাজার ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৫০, সুপারভাইজারের ৫০০ থেকে ৭৫০ এবং সহকারীর ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা করা হবে। শুক্রবার থেকে তা কার্যকরের কথা থাকলেও তার আগের রাতেই মালিকরা হঠাৎ করে বাস বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: উত্তরের ৩ জেলা থেকে ঢাকাগামী বাস বন্ধ, পূজার ছুটিতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এ বিষয়ে মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়া হলেও তারা নতুন করে কিছু ‘অযৌক্তিক’ দাবি সামনে এনেছেন। ফলে বাধ্য হয়ে বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, শ্রমিকরা দূরপাল্লার বাস যেখানে-সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চাইছেন এবং খোরাকি ভাতা দাবি করছেন। এতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়েই নতুন করে বিরোধ তৈরি হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসেই দুই দফায় বাস বন্ধ করেছিলেন চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীরা।
]]>