জানা গেছে, দুর্গা পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে অনেক আগে থেকে আগাম বুকিং হয়ে গেছে বান্দরবানের বেশীর ভাগ হোটেল মোটেল রিসোর্ট। তাই বাড়তি পর্যটককে রুম দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অনেকে রুম না পেয়ে চলে গেছে অন্যত্র। গত বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকের সমাগম ঘটে পাহাড় কন্যা বান্দরবানে।
জেলার মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিকলেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, তমাতুঙ্গীসহ সব দর্শনীয় স্থানের পর্যটকের ভীড়। পরিবার পরিজন নিয়ে চাঁদের গাড়ীতে করে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে পর্যটকরা। নগর জীবনের কোলাহল ভূলে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্শনার্থীরা। কেউ ছুটে যাচ্ছেন ঝরনার সৌন্দর্য দেখতে কেউ বা পাহাড় দেখতে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় দেশের যেসব মনোমুগ্ধকর জায়গায় ঘুরতে যাবেন
গত ১ অক্টোবর থেকে কেওক্রাডং এর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় এ ভীড় বেড়েছে আরো কয়েকগুন। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় পর্যটকের আনা গোনা বেড়েছে বলেও মনে করেন অনেকে।
হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালীর ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘টানা ৪ দিনের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে আগে থেকেই আমাদের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। তাই নতুন করে কাউকে রুম দিতে পারছি না। আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত এ ভিড় থাকবে।’
ফানুস রিসোর্টের পরিচালক ইমরান উদ্দীন বলেন, ‘এবারের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক এসেছে। অনেকদিন পর রিসোর্টের সব রুম আগে থাকেই বুকিং হয়ে গেছে। তাই অনেককে রুম দিতে পারছি না।’
এদিকে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বান্দরবানের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আগেও অনেকবার এসেছি, যতবার আসি ততবারই ভালো লাগে।’
নড়াইল থেকে বেড়াতে আসা কাওসার আলম বলেন, ‘পরিবার নিয়ে সবসময় বের হওয়ার সুযোগ হয় না। এবার টানা ৪ দিন ছুটি পাওয়ায় আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছি, এসে অনেক ভালো লাগছে। পাহাড় এত সুন্দর এটা আসলে কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যায় না। নীলগিরি গিয়েছি নীলাচল গিয়েছি অনেক ভালো লাগছে। এদিকে পর্যটকদের ভ্রমন নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানের সেরা পর্যটন কেন্দ্রগুলো: যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং খরচ জেনে নিন
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, ‘প্রতিটি পর্যটন স্পটে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ট্যুরিস্ট পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মোতায়েন করা হয়েছে। ট্যুরিষ্টরা নিরাপদে সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবে।’
বান্দরবান জেলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত। পর্যটকদের সেবায় রয়েছে ৪ শতাধিক চাঁদের গাড়ি ও শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট।
]]>