শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দল চিটাগাং কিংসকে ৩৩ রানে হারিয়েছে রংপুর।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করেছে রংপুর। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিটাগাংয়ের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে তারা। হিসাবের মারপ্যাঁচ এখনও থাকলেও রংপুরের প্লে-অফ এক প্রকার নিশ্চিতই বলা যায়।
রংপুরের দেয়া ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উসমান খানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় চিটাগাং। তবে শুরুতে উইকেট হারালেও পাওয়ারপ্লেতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন গ্রাহাম ক্লার্ক এবং পারভেজ ইমন।
আরও পড়ুন: দুর্বার রাজশাহীতে আরও দুই বিদেশি ক্রিকেটার
১৪ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আকিফ জাভেদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমন। পাওয়ারপ্লে থেকে ৫০ রান আসে চিটাগাংয়ের।
পাওয়ারপ্লের পর সপ্তম ওভারে আকিফ একাই দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রংপুরের হাতে এনে দেন। দারুণ ফর্মে থাকা ক্লার্ক ২০ বলে ২৩ রান করে ফেরেন। অধিনায়ক মিঠুন করেন ২ রান।
পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন নাইম ইসলাম এবং শামীম পাটোয়ারি। ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন তারা। তবে ছন্দপতন ঘটান খুশদিল শাহ। ১৫তম ওভারে নাইমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাঠে তামিমের উত্তপ্ত আচরণ নিয়ে যা বললেন সাব্বির
জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৪৯ রান দরকার ছিল চিটাগাংয়ের। এবারও বোলিংয়ে এসে চমক দেন আকিফ। ১৭তম ওভার মেডেন দিয়ে নেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট। পরের ওভারে শামীম ফিরলে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় চিটাগাংয়ের। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩১ বলে ৩৮ রান করেছেন শামীম।
রংপুরের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন আকিফ। দুই উইকেট পেয়েছেন খুশদিল শাহ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি রংপুরেরও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানে আউট হন ওপেনার তৌফিক খান। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেলরও তেমন হাত খুলে ব্যাটিং করতে পারেননি। পাওয়ারপ্লে থেকে আসে ৩১ রান।
পাওয়ারপ্লের পর রানের গতি কিছুটা বাড়ান টেলর এবং সাইফ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। দশম ওভারে তাদের এই জুটি ভাঙেন আলিস আল ইসলাম। ১৮ বলে ১৭ রান করেছেন সাইফ।
সাইফের বিদায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনার টেলরও ফেরেন দ্রুত। ৩২ বলে ৩৯ রান করে নাইম ইসলামের বলে আউট হন তিনি। পাকিস্তানের বিধ্বংসী ব্যাটার ইফতিখার আহমেদও বোকা বনেছেন ঘূর্ণির কাছে। মাত্র ৩ রান করে আরাফাত সানির বলে আউট হন এই ব্যাটার।
পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন খুশদিল এবং নুরুল হাসান সোহান। দুজনের ৪১ রানের জুটিতে মূলত খুশদিলই রান তুলেছেন। দারুণ ফর্মে থাকা সোহান ফিরেছেন ১০ বলে কেবল ৮ রানে।
সোহানের বিদায়ের পর খুশদিন একাই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা ১৮তম ওভারে ৩ ছক্কা ও ১ চারে নেন ২৫ রান। ওই ওভারেই অবশ্য আউট হয়েছেন তিনি।
শেষদিকে ১২ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শেখ মেহেদী। ৪ বলে ৮ রান করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
চিটাগাংয়ের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বিনুরা ফার্নান্দো। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১টি উইকেট। পুরো ইনিংসে তিনি বাউন্ডারি হজম করেছেন কেবল ১টি, সেটাও ইনিংসের শেষ বলে। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আলিস এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম। তবে দুজনেই বেশ খরুচে ছিলেন।