শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে পাটলাই নদীর নজরখালি বাঁধ ভেঙে হাওড়ে পানি প্রবেশ করছে। পুরো টাঙ্গুয়ার হাওড় পানিতে পরিপূর্ণ হতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে।
স্থানীয়রা জানান, হাওড়ের ফসল কাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাঁধ টিকিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। তাই মাছের উৎপাদন ও প্রজননের জন্য এ সময় হাওড়ে পানি প্রবাহ বাড়ানোর প্রয়োজন। হাওড়ের পানি প্রবাহের দুটো বাঁধের মধ্যে একটি দিয়ে পানি প্রবাহ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নদী-হাওড়ে মাছ নেই, পেশা বদলাচ্ছেন জেলেরা
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের নুরুল হক বলেন, ‘হাওড়ের ধান কাটা শেষ। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে পানি সংকটে থাকা টাঙ্গুয়ার হাওড়ের মাছের অভয়াশ্রমে পানির পরিমাণ বাড়ছে।’
ছিলানি তাহিরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত কম হয়েছে, তাই হাওড়ের জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি ছিলো না। পাটলাই নদীর পানি ঢুকায় হাওড়ে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হবে। ধান কেটে ফেলায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
আরও পড়ুন:হাওড়ের মাছের টাটকা শুটকি মেলে বড়বাজারে, হয় কোটি টাকার বেচা-কেনা
জেলা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, ‘এই হাওড়ে ১৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে হাওড়ের ধানকাটা শেষ হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙে ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে হাওড়ে পানি প্রবাহের ফলে মাছের উৎপাদনে সহায়ক হবে।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম বলেন, ‘এটি স্থানীয় কৃষকের দেয়া একটি বাঁধ। হাওড়ের ফসল কাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় এই বাঁধের উপযোগিতা শেষ। তাই কৃষকরা মাছ ধরার জন্য বাঁধের কোনো তদারকি না করায় তা ভেঙে হাওড়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের মৎস্য অভয়াশ্রমে পানির পরিমাণ বাড়বে। এতে মাছের উৎপাদন বাড়বে।’