মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় বোর্ড থেকে পাঠানো ১ নম্বর সেটের পরিবর্তে ৩ নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। যদিও জেলার অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে সঠিক সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভেন্যুতে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়, শাহরিয়ার হাসান উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুরি মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয় ও মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ২৮১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে, তারা বোর্ড নির্ধারিত সেটের বাইরে অন্য সেটে পরীক্ষা দিয়েছে। এতে অনেকেই পরীক্ষার ফল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
ঘটনার পর শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী কেন্দ্র সচিব শামছুল আলম এবং ট্যাগ অফিসার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শেখ মো. মুসাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে বই দেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো শিক্ষার্থীরা
শামছুল আলম জানান, ‘গত ১০ এপ্রিল মুঠোফোনে আসা ক্ষুদেবার্তার ভিত্তিতে ভুলক্রমে ৩ নম্বর সেটের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না, তাদের উত্তরপত্র বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে।’
ট্যাগ অফিসার শেখ মো. মুসা বলেন, ‘ইউএনও, কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসার মিলে বোর্ড থেকে পাঠানো বার্তা যাচাই করে প্রশ্ন বিতরণের নিয়ম থাকলেও তা না করায় ভুল হয়েছে।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘এটি স্পষ্টত দায়িত্বে অবহেলা। বিষয়টি বোর্ডকে জানানো হয়েছে এবং তারা আশ্বস্ত করেছে, এসব উত্তরপত্র বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>