জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (উইকেয়ার) ফেজ ১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প (এন-৭) অনুমোদন দেয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মেয়াদ এক বছর থাকলেও কাজের এখনও ৯৪ শতাংশ বাকি রয়েছে।
সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস, চুটলিয়া মোড় এলাকায় শেষ হয়েছে ফ্লাইওভারের পাইলিংয়ের কাজ। ধোপাঘাটা সেতুর গার্ডার স্থাপন এবং কিছু কালভার্ট উন্নয়নের কাজও করা হয়েছে। তবে সড়কের মূল উন্নয়ন কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে আছে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। ফলে প্রকল্পের মূল কাজ থমকে আছে বছরের পর বছর। ধূলাবালি, খানাখন্দে ভরা সড়ক ও ধীরগতির যান চলাচল মহাসড়কটিকে পরিণত করেছে বিপদের আরেক নামে।
আরও পড়ুন: ফুটপাতে ব্যবসা নয়, কঠোর অভিযানে যাচ্ছে ডিএনসিসি: প্রশাসক
আব্দুর রাজ্জাক নামের এক গাড়িচালক বলেন,
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন হাজারো যাত্রী, পণ্যবাহী ট্রাক ও গণপরিবহন। খানাখন্দে ভরা সড়কে ধূলাবালি ও কাদা—সব মিলিয়ে চালকদের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রীরা পড়ছেন চরম বিপাকে।
শাহানাজ পারভীন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ শহরে যাতায়াত করি। সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারি না। ধূলাবালিতে চোখে-মুখে জ্বালা করে, যানজটে সময় নষ্ট হয়। এত কষ্টের পরেও উন্নয়ন দেখছি না।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. এনামুল হক বলেন, ‘রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য আনা-নেয়ায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ট্রাকগুলো ধীরে চলে, আবার মাঝে মাঝে বিকল হয়ে পড়ে। এতে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সেতুর খবর নেই, পিলার দেখেই কাটল ৫ বছর!
এ ব্যাপারে উইকেয়ার ফেজ ১-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নিলন আলী বলেন,
জমি বুঝে পেলেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব। যতদ্রুত আমরা জমি বুঝে পাবো, তত দ্রুত পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারবো।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল ঝিনাইদহ বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি দু’এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
]]>