শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোকযাত্রা বের হয়ে শহর ঘুরে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ দোয়া মোনাজাত করেন জেলা জজ মো. মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনসহ আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা। পরে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর এই দিনে সকাল ৯ টার দিকে কোয়াটার থেকে আদালতে যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে নৃশংস বোমা হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠির মহাসড়ক যেন মৃত্যুকূপ, চার মাসে গেল ১১ প্রাণ
আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইসহ ৭ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
]]>

২ দিন আগে
২








Bengali (BD) ·
English (US) ·