ঝালকাঠিতে কাজে আসেনি পৌনে ২ কোটি টাকার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন

২১ ঘন্টা আগে
শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ঝালকাঠির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কোনো কাজেই আসেনি। পাঁচ বছর ধরে মেশিনগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির কারণে এটি ব্যর্থ হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে স্লিপ প্রকল্পের আওতায় জেলার ৫৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হাজিরা মনিটরিংয়ের জন্য ডিজিটাল বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ২৯ হাজার টাকা করে নেয়া হলেও এসব মেশিন কার্যকর ছিল মাত্র এক-দুই মাস। এরপর থেকে পাঁচ বছর ধরে মেশিনগুলো ব্যবহারের বাইরে রয়েছে।

 

বিদ্যালয়গুলোর দেয়ালে এখনও সেসব মেশিন ঝুলছে, তবে নেই কোনো ইন্টারনেট সংযোগ। শিক্ষকদের অভিযোগ, ‘নিম্নমানের’ মেশিনগুলো অচল হয়ে পড়েছে, কিন্তু শিক্ষা দফতর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

 

একাধিক শিক্ষক জানান, প্রায় ১০ হাজার টাকার মেশিন প্রতিটির জন্য ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয় এবং কোনো ভাউচার দেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, ‘তৎকালীন সরকারদলীয় এক প্রভাবশালী নেতা প্রকল্পটির ঠিকাদার ছিলেন। ফলে শিক্ষকদের কেউ তার কাছ থেকে সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিতে পারেননি। প্রকল্পটি ছিল লোক দেখানো, মূলত কোটি টাকা আত্মসাতের ফাঁদ।’

 

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে তিন বছরেও হয়নি সেতু নির্মাণ, চরম ভোগান্তিতে ২ লাখ মানুষ

 

ঝালকাঠি শহরের শাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘এই মেশিনে কোনো উপকার হয়নি। বরং সরকারের কোটি টাকার অপচয় হয়েছে।’

 

ঝালকাঠি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল কবির তুহিন বলেন, ‘প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে শিক্ষকদের হাজিরা মনিটরিংসহ উপস্থিতি নিশ্চিত করা যেতো।’

 

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে ব্যয় হয় ১ কোটি ৭২ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন