ঝালকাঠিতে আ.লীগ নেতাকে মারধর

৩ দিন আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ৫নং শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. মাহমুদ হোসেন রিপনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে ও মারধর করা হয়।


পরে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কচুয়ার বটতলা পর্যন্ত নিয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত একদল লোক। পরে স্থানীয়রা আহত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিলে পরে তারা আত্মগোপনে চলে যান।


চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহকারী সচিব খায়রুল ইসলাম মান্নানের ছোট ভাই। তিনি শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবারের চেয়ারম্যান ও একাধিবার জেলা ও বিভাগের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপানে ছিলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন।


আরও পড়ুন: নড়াইলে সাংবাদিককে আ.লীগ নেতার গালিগালাজের অডিও ভাইরাল


উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখিয়ে অন্য ৫ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় ওইসব ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক। তবে সরকার পতনের পর কাঠালিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার প্রধান আসামি হন। মামলার ৫নং আসামি ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। পরে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন তারা।


অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিএনপির নেতাকর্মীরা এই হামলা চালান। ঘটনার পর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।


রিপন চেয়ারম্যানের কাছে আত্মীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি (বহিষ্কৃত) ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল আলমের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে শামসুল আলম বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান রিপনকে দায়িত্ব থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে আসছিলেন। তাই রিপন চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ হতে বিতাড়িত করার জন্য এই হামলা চালানো হয়।


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ রিমান্ডে


তবে আহত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি মেম্বার সামসুল আলম বলেন, ‘রিপন চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও পরিষদের সব কার্যক্রম থেকে তাকে বঞ্চিত করেছে। শুনেছি তার ওপর হামলা হয়েছে।’


উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জালালুর রহমান আকন জানান, এ হামলার ব্যাপারে বিএনপি জড়িত নয়। এটা ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের পূর্ব বিরোধের ফল। সামসুল আলম তাদের দলের কেউ না।


কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মংচেনলা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন