সব ঠিকঠাক থাকলে নেশন্স লিগের এই শিরোপা নিয়ে আবারো একবার উদযাপনে মাততে পারতো পর্তুগাল। তবে ঐ নেশন্স লিগ জয়ের পরেই, সেলেকাও শিবিরে সবকিছু তছনছ।
এক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায় দিয়েগো জোটা। সাথে ছিলেন তারই সহোদর আন্দ্রে সিলভা। সে শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ফুটবল বিশ্ব। দূর্ঘটনার পরে প্রথমবারের মতো একত্রিত হলো পর্তুগাল জাতীয় দল।
আরও পড়ুন: বন্ধুর অভিনয় দেখতে স্বপরিবারে থিয়েটারে মেসি
সেখানেই প্রয়াত জোটাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানালো পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন। উপস্থিত ছিলেন দেশটার প্রধানমন্ত্রী নিজেই।
পর্তুগীজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্ট্রিনেগ্রো বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আবারো বার্তাটা স্পষ্ট করতে চাই, জোটার পরিবার, স্ত্রী, সন্তান কিংবা আত্মীয়দের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এটা চিরজীবন থাকবে, আমরা চিরজীবন তাদের মনে রাখবো।’
জাতীয় দলের ট্রেনিং সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন ফুটবলারের স্ত্রী ও পরিবার। জাতীয় দলের পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক, অ্যাওয়ার্ড আর ডিপ্লোমা। জোটা ও তার ভাইয়ের স্মরণে সেখানে উন্মোচিত করা হয় ভাস্কর্য।
আরও পড়ুন: বেতিসে যোগ দিয়ে কান্না ভেজা চোখে খুশির বার্তা দিলেন অ্যান্টনি
জাতীয় দলের নিয়ম মেনেই প্রয়াত জোটার ২১ নম্বর জার্সি তুলে দিতে হতো অন্য কাউকে। এক্ষেত্রে বেছে নেয়া হলো জতারই কাছের বন্ধু রুবেন নেভেসকে। জতার স্মৃতি বহন করতে, নিজে থেকেই নাম্বারটা চেয়ে নিয়েছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
পর্তুগিজ ফুটবলার রুবেন নেভেস বলেন, ‘নাম্বারটা আমার জন্য সম্মানের। ওর পরিবারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আমি এখানে যতদিন আছি ওর নাম্বারটা গায়ে জড়িয়ে মাঠে রাখতে পারি কিনা। তারা রাজি হয়েছে। তাদের প্রতি আমার সর্বোচ্চ কৃতজ্ঞতা। আর ফেডারেশনকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে ২১ নম্বর জার্সি দেয়ায়। এটা এমন কিছু যা মন থেকে চাচ্ছিলাম। শুধুমাত্র চিন্তায় নয়, দলের অংশ হিসেবে ওর উপস্থিতি থাকুক আমাদের সাথে।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৬ তারিখ আর্মেনিয়া আর ১০ সেপ্টেম্বর হাঙ্গেরির মুখোমুখি হবে সেলেকাও।
]]>