জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিলেন সাবেক উপমন্ত্রী

২ সপ্তাহ আগে
জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক। এ ঘটনার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ভিডিও ক্লিপ দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে।

 

এক মিনিট ১৩ সেকেন্ড এবং ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপগুলো দেখা যায়, শহরের শফির মিয়ার বাজার এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনেক মানুষের ভিড়। সেখানে সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হককে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়। তার ডান হাতে পিস্তল। তিনি পিস্তলটি বার বার উপরে তাক করে হুমকি–ধমকি দিচ্ছেন। এ সময় তাকে বলতে শুনা যায়, আমার ফাঁসি হলে হবে। আমি ফাঁসি মেনে নেবো। তাও গাদ্দারকে মেরে ফেলবো।

 

দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সিরাজুল হক তার একদল অনুসারী নিয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন এবং দলীয় নেতাদের উদ্দেশে মুনাফেক বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন।

 

আরও পড়ুন: বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা, প্রধান অভিযুক্তসহ ৩ তরুণ গ্রেফতার

 

ভিডিও সর্ম্পকে জানতে চাইলে সাবেক সিরাজুল হক বলেন, 

আমার ছেলে ঘরটি বিএনপির অফিস হিসেবে ভাড়া দেয়। কিন্তু গত ২৮ বছর যাবৎ ঘরের ভাড়াও পরিশোধ করে না, ছেড়েও দেয় না। এতে আমার ছেলে বাবুর এক কোটি ২০ লাখ টাকা ভাড়া পাওয়ানা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে আমার ছেলে ভাড়া চাইতে গিয়ে বলে, হয় ভাড়া দেন না হয় ঘরটা ছেড়ে দেন। এ কথা বলার পর আমার ছেলেকে মামুনের ভাই রেদুয়ান, ভাগ্নে রুমেল মারধর করেছে। আমাকে ফোন দিয়ে মারধরের কথা বলেছে। আমার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই রিভলবার সঙ্গে নিয়ে গেছি। সরকার আমাকে লাইসেন্স দিয়েছে  সিকিউরিটির জন্য। আমি আমার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র নিয়ে গেছি। আমি খালি হাতে যাব কেন?

 

গাদ্দারকে মেরে ফেলার হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, জামালপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহম্মেদ লোটনকে উদ্দেশ্য করে বলেছি। লোটন আমার পিএ ছিল। আমি তাকে টাকা পয়সা খবর করে কলেজের জিএস বানিয়েছিলাম। অথচ ওর সামনে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে, কিন্তু সে কোনো প্রতিবাদ করেনি।

 

আরও পড়ুন: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি পেলেন ইনফ্লুয়েন্সার

 

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ানের কাছে ঘটনা সর্ম্পকে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।

 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, অফিসের ঘরটা তার। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তিনি ঘর ছাড়িয়ে নেবেন এটা তিনি বলতেই পারেন। তবে তিনি যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন সেটা সঠিক হয়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন