বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে ফিজির দূতাবাস উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিতেনি রাবুকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ফিজির পদক্ষেপ ‘ফিলিস্তিনি জনগণ, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
আরও পড়ুন: দোহা হামলার পর বেঁচে যাওয়া হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার, কী বললেন?
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিজির দূতাবাস খোলার বিষয়টিকে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের সরাসরি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে ফিজিকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১৭ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে পিটিশন, স্বাক্ষর হাজারো ইসরাইলির
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, কসোভো, পাপুয়া নিউ গিনি এবং প্যারাগুয়ের জেরুজালেমে দূতাবাস রয়েছে। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তেল আবিবে তাদের মিশন রেখেছে।
পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। ইসরাইল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে এই স্থানটিকে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত করে। যদিও জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে এটি ইসরাইলের অবৈধ কর্মকাণ্ড।
সূত্র: আনাদালু এজেন্সি
]]>