দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে করা মামলায় গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ওই দাঙ্গা অন্তত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলে। এতে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারান এবং আরও কয়েকশ’ নাগরিক আহত হন।
ডনের প্রতিবেদন মতে, সেদিন লাহোরের জিন্নাহ হাউস ও আসকারি টাওয়ার, রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স, ফয়সালাবাদ ইন্টার-সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই) চাকদারার এফসি ফোর্ট, পেশোয়ারের রেডিও পাকিস্তান ভবন, সোয়াত মটরওয়ের টোল প্লাজা এবং মিয়াওয়ালি বিমান ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে।
মোট ৬২টি সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়। এতে ২.৫ বিলিয়ন রুপি ক্ষতি হয়। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষতি ১.৯৮ বিলিয়ন রুপি। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী দাবি করে আসছে, সহিংসতার ঘটনাগুলো পিটিআই নেতৃত্বের সমন্বিত ও পরিকল্পিত আক্রমণ ছিল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা চীনের
জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে হামলার অভিযোগে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদসহ প্রায় ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এরমধ্যে জুলফি বুখারি, শাহবাজ গিল ও মুরাজ সায়েদসহ ২৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়। এই মামলায় ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবিরোধী আদালত গত বছরের নভেম্বরেই ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে (এটিসি) এ মামলার শুনানি হয়। ইমরান খান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহ মাহমুদ কুরেশি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
শুনানির পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ, সাবেক আইনমন্ত্রী রাজা বাসারাত ও পিটিআই নেতা জারতাজ গুল ওয়াজিরসহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
আদিয়ালা কারাগারের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাস, খুনের চেষ্টা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, ঘেরাও ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আদালতে উপস্থিত মোট ১০০ আসামিকে অভিযুক্ত করেছেন।
]]>