জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংকট, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় বিশ্লেষকরা

৫ দিন আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংকট উত্তরণে নতুন পথ খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিচার বিভাগের কাছে পরামর্শ চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। প্রস্তাবনা পরিবর্তন করে হলেও ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সনদ চূড়ান্ত করার প্রত্যাশা তার। সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন নিয়েই শঙ্কা কথা জানালেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ।

সংস্কার প্রস্তাবনায় নানা ভিন্নমত পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য তৈরি হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সেই ঐক্যের দেখা মিলছে না। সংকট উত্তরণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে সাংবিধানিক আদেশে আইনি বৈধতা এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন, যা নিয়েও মতভিন্নতা প্রকট।

 

জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিক আদেশ এবং গণভোটের পক্ষে। তবে নির্বাচনের আগেই গণভোট সম্পন্ন করে তার অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনড় দলটি। আর গণভোট নয় বরং নতুন সংবিধান প্রণয়নে গণপরিষদ নির্বাচন চায় এনসিপি। অন্যদিকে, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ সমর্থন করে না বিএনপি। সনদ বাস্তবায়নে বৈধ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া বের করার পরামর্শ দলটির।

 

রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবনা পরিবর্তনের চিন্তা ঐকমত্য কমিশনের। এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের পরামর্শ চাওয়া হতে পারে। কমিশনের অন্যতম সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলছেন, কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চায় না কমিশন।

 

আরও পড়ুন: এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ কি একীভূত হচ্ছে?

 

ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ তৃতীয় বারের মতো ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যেই জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। সনদের অধীনে নির্বাচন আয়োজনও রয়েছে বিবেচনায়।

 

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘যত দ্রুত একমত হবে, তত দ্রুত স্বাক্ষর হবে। কোনোভাবেই আমরা সেটা আগামী মাসের ১৫ তারিখের পরে করতে চাই না।’

 

দলীয় স্বার্থ দূরে রেখে সবাইকে ছাড় দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলছেন, 

নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আমরা নিশ্চয়ই সেটা চাই না। সুতরাং এখানে ছাড় দিতে হবে। আমরা ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আছি। সবগুলো দলই ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের চেয়ে দলীয় স্বার্থ নিয়ে বেশি চিন্তা করছে।

 

আরও পড়ুন: দেশে ৩ মাসেই অনেক নির্বাচন হয়েছে, সরকার চাইলেই ফেব্রুয়ারিতে সম্ভব: ফখরুল

 

ঐকমত্য তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছে কমিশন। প্রথম দফার আলোচনায় ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টির বিষয়ে ঐকমত্য হয়। দ্বিতীয় দফায় বাকি সব সংস্কার প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯টিতে, যার ৯টি পয়েন্টে সর্বসম্মতিক্রমে ঐকমত্য এবং ১০টিতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন