জুলাই শহীদের কবরে আরেকজনকে দাফন, নেপথ্যে কী?

৪ দিন আগে
সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এখনও অনেক কবর পড়ে আছে অযত্নে, অবহেলায়। এমনই এক গেজেটভুক্ত জুলাই শহীদ মো. কামাল। যাকে কবরস্থ করা হয় মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে। গেলো সপ্তাহে তার কবরের জায়গায় দাফন করা হয় নাম ফলক বিহীন আরেকজনের মরদেহ।

স্বজনদের অভিযোগ, জুলাই শহীদের কবর নিয়ে এমন গাফিলতি শহীদকে অবমাননার শামীল।


শহীদ মো. কামালের মেয়েরা জানান, ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হন মো. কামাল। গুলিতে শহীদ হয়েছেন তিনি। তার কবর সংরক্ষণের দাবি জানান মেয়েরা।


এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অবিলম্বে শহীদদের কবর সংরক্ষণের দাবি জানান সংগঠনটির শহীদ ও আহত সেলের সম্পাদক তামিম খান।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক শহীদ ও আহত সেলের তামিম খান বলেন, ‘সরকারের অনেক বড় গাফিলতি আছে। কবর সংরক্ষণ হবে এবং বাঁধাই হবে, সেটা আরও এক বছর আগ থেকে বলা হচ্ছে। কত কাজ হচ্ছে কিন্তু আমরা শহীদদের কবর সংরক্ষণ করতে পারছি না।’


আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় /ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের তালিকা থেকে নাম বাদ


এদিকে কবরস্থানের দায়িত্বরত হাফেজ মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘রেজিস্ট্রার খাতায় জুলাই শহীদের তথ্য না থাকায় কবরস্থানের নিয়ম অনুযায়ী এক বছর পর সেখানে নতুন মরদেহ দাফন করা হয়েছে।’


জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থান জামে মসজিদের ইনচার্জ বলেন, ‘সেখানে তথ্য দেয়া হয়েছে, তার মৃত্যু হয়েছে স্ট্রোকজনিত কারণে। তিনি যে শহীদ হয়েছেন এ বিষয়ে কোনো তথ্যই ছিল না। তথ্য না থাকায় এক বছর পর এখানে নতুন মরদেহ দাফন করা হয়েছে।’


২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন চা বিক্রেতা মো. কামাল। ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন