বৃহস্পতিবার ( ১৮ ডিসেম্বর) এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় এসব হামলা ও হুমকির ঘটনাকে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা ও হত্যাকাণ্ডসহ নামে-বেনামে হুমকি দেয়ার ঘটনাগুলো সারা দেশের ছাত্রসমাজকে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করেছে।
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থীদের গুপ্তহত্যা: তিন উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
এ ঘটনাগুলো শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচারের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমিয়ে রাখার এক ভয়ঙ্কর প্রচেষ্টা বলেও দাবি করা হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগ যখন চলমান এবং শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ফেরার চেষ্টা করছে তখন এসব ‘টার্গেটেড অ্যাটাক’ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনকে আবারও অস্থির করে তুলেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জোরালো দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো-
১. অবিলম্বে হত্যাকাণ্ড, হামলা, হুমকির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. শিক্ষার্থী এবং বিপ্লবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্বারা বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. চিরুনি অভিযান চালিয়ে পলাতক সন্ত্রাসী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অপরাধী এবং তাদের পৃষপোষকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বৃহস্পতিবারের এ অবস্থান কর্মসূচিতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নফিউল ইসলাম, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চের দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ নেতাদের জামিন বিরোধিতা করে আদালত ঘেরাও শিক্ষার্থীদের
এ সময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ছাত্রসমাজ দেশের প্রাণশক্তি। তাদের কণ্ঠ রোধ করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না। শান্তিপূর্ণ কিন্তু দৃঢ়ভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। জানান, শহীদ সহপাঠীদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে তারা ঐক্যবদ্ধ।