ছোট্ট মেহরিমা, পরিবারের সঙ্গে আসে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেই নতুন প্রজন্মের জন্য হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, তাদেরই একজন হয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের মঞ্চ দেখতে এসেছে সে। আজ জুলাই গণ-অভ্যুথানের বর্ষপূর্তির দিনে সেখানেই পাঠ করা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র।
শুধু মেহরিমা নয়, খবর পেয়ে এদিন রাতে আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই আসেন এই আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে। এর মাঝেই মহড়ার অংশ হিসেবে বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত, যেন মনে করিয়ে দেয়া হয় এ এক নতুন বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের অর্জিত বিজয় ছিল মুক্ত পাখির মতো বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের
স্বৈরাচারমুক্ত দেশের স্বপ্ন বাস্তব হলেও এখনও অনেক চাওয়া অপূর্ণই থেকে গেছে এ দেশের নাগরিকদের। বিশেষ করে এখনো গণহত্যার বিচারের অগ্রগতি নিয়ে হতাশ অনেকেই।
তারা বলছেন, স্বৈরাচারের বিপক্ষে যতগুলো শক্তি একত্র ছিল, তাদের মাঝে বিভাজন হবে না-- এটাই প্রথম চাওয়া। অন্তর্বর্তী সরকার হয়ত অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু সব কিছু মিলিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
তবে অনেকেই বলেছেন, টেকসই সংস্কার রাতারাতি সম্ভব নয়। সময় নিয়ে সবাই মিলেই গড়ে তুলতে হবে স্বপ্নের বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে না কোনো বিভেদ। থাকবে সাম্য আর ন্যায়বিচার।
আরও পড়ুন: আজ যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বললো ডিএমপি
এদিকে, গণ-অভ্যুথানের বর্ষপূর্তি ঘিরে লাল-সবুজ আভায় সেজেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবন।
]]>