‘জুলাই গনঅভ্যুত্থান: সফলতা ও ব্যর্থতা’ শীর্ষক আয়োজনে আত্মপ্রকাশ করল ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’

৩ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর সফলতা ও ব্যর্থতার পর্যালোচনায় রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’ নামক নতুন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশমূলক সেমিনার।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মির ঈদ্রিস, আর সঞ্চালনায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাক্টিভিস্ট এম মাহবুবুর রহমান।


অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্য ও রূপরেখা তুলে ধরেন লেখক ও প্রকাশক আবু তাসমিয়া আহমেদ রফিক। তিনি বলেন, 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশের লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য—জাতীয় পরিসরে মুসলিম বাংলার মূল্যবোধ ও ইচ্ছা-আকাঙ্কার পক্ষে অবস্থান নেওয়া। কওম ও যমীনের স্বার্থে অগ্রগামী ভূমিকা পালন, মুসলিম আত্মপরিচয়ে উজ্জীবিত প্রজন্ম গঠন এবং তাওহীদী সমাজ নির্মাণই এর উদ্দেশ্য।'


এ সময় বক্তারা বলেন, 'এই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন এবং ফ্যাসিবাদের অবসান। তবে, যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিপ্লব শুরু হয়েছিল, তা আজ অনেকটাই ম্লান। ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র ও পরবর্তী শাসনব্যবস্থার।'


আরও পড়ুন: রাসূলের জাতিস্বত্বার অস্তিত্ব সংরক্ষণ ব্যতীত দ্বীনের হেফাজত সম্ভব নয়: মুহিউদ্দীন রাব্বানী


এ সময় তারা উল্লেখযোগ্য কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছেন–


১। শহীদ ও আহতদের পাশে রাষ্ট্র দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।
২। আওয়ামী লীগের অপরাধীদের বিচারে গড়িমসি চলছে।
৩। বহু খুনি পালিয়ে যেতে পেরেছে রাষ্ট্রীয় সহায়তায়।
৪। সংস্কারের নামে ধর্ম ও দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে।


সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেমে দিন মুফতী জসিম উদ্দিন রহমানি, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতী ফখরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. সরোয়ার,  বিশ্লেষক ও ফিলোসফার, আসিফ মাহতাব উৎস, মেজর শাহিন, ডা: মেহেদি, ডা: শামসুল আরেফিন শক্তি,  নেক্সাস প্রতিনিধিত্বকারী সাবেক কর্নেল হাসিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, সাবেক নৌবাহিনী কমোডর মেসবাহউদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবু নাসের, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর কামরুল ইসলাম, মেজর রাশেদ খান, সাবেক সচিব মোহিউদ্দিন ফারুক,  লেখক ও সংগঠক রেজোয়ান হারুন, জামিআ'তুল মুদাররিসীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, সাবেক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর হাসানুজ্জামান, সাবেক সচিব নূরে আলম মিয়া, এবং নৌবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট ও আন্দোলনের সশস্ত্র বাহিনির একমাত্র অংশগ্রহণকারী কেএসএম ইনতিসার ইনজিমাম, চট্টগ্রামের পটিয়ার গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারী ছাত্র মুহাম্মাদ মোরশেদ, প্রবাসে আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া মুহাম্মাদ ইসলামাবাদী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তসলিম ইসলাম অভি, আন্দোলনে সামনের সারির মাদরাসার ছাত্র শফিকুল ইসলাম, শহীদ আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ, ‘সাদা যুব্বা রক্তে লাল’ প্রতিবেদনখ্যাত আন্দোলনকারী মাকসুদুর রহমান, যাত্রাবাড়ীর আহত মাদরাসা শিক্ষার্থী মুস্তাইম বিল্লাহ, আল্লামা বাবুনগরী (রহ.)-এর সহকারী মাওলানা ইনামুল হাসান ফারুকী, হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্রনেতা আবরার কাউসার, যাত্রাবাড়িতে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া রাকিবুল ইসলাম।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন