গত ৪ মে অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আব্দুর রউফ এই নোটিশ দেন।
নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন: মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এ এস এম সানোয়ার রাসেল, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. সালমুন হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদ হোসেন ও সহকারী প্রধান আবু মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে চার মৎস্য কর্মকর্তা লাইক দিয়েছেন। আরেক কর্মকর্তা কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘...উনাকে সরাতে হবে মেসেজ ক্লিয়ার।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ঘুরছে ‘মিশাকে মারধরের ভিডিও’, যা জানা গেল
পাঁচ কর্মকর্তাকে দেয়া মৎস্য অধিদফরের মহাপরিচালকের সই করা আলাদা আলাদা নোটিশে বলা হয়েছে, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে। আপনি ওই নির্দেশনা অমান্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত কর্মকর্তা সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯-এর পরিপন্থি।’
নোটিশে আরও লেখা হয়েছে, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ২৭ এপ্রিল তারিখের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যপত্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে।’
এদিকে আজ (শনিবার) সেই পুরোনো পোস্ট শেয়ার করে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক জুলকারনাইন। তিনি লিখেছেন, “এই পোস্টে ‘স্যাড’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ার জন্যই মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অবিশ্বাস্য!”