শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ২০৩টি স্টলের প্রায় প্রতিটিতেই ভিড় জমেছে। বিশেষ করে মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোতে পাঠকদের বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পাঠকরা পছন্দের লেখকের বই সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন।
এদিন জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক মেলা ঘুরে দেখেন। তিনি বিভিন্ন স্টলে গিয়ে বই দেখেন এবং প্রকাশকদের খোঁজ-খবর নেন।
মেলার আয়োজকদের একজন, রাহনুমা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান তুষার সময় সংবাদকে বলেন,
আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। এবার গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ স্টল বরাদ্দ দিয়েছি। পাশাপাশি মিশর, লেবানন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এ ভিন্নতাই মেলাকে অনন্য করছে। আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: জমে উঠছে আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা
রুহামা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী ও মেলা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা সত্যিই প্রাণবন্ত। দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষ করে আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আমাদের আনন্দিত করছে।’
ক্রেতাদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতা আবদুল্লাহ আফফান বলেন, ‘বই মানুষের মনুষত্ব জাগিয়ে তোলে। প্রেমময় রবও পড় বলে কোরআন নাজিল শুরু করেছেন।’
মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম জিম জানান, ‘ইসলামি বই আমাকে আমার রবের দিকে টেনে নেয়। কোরআনের ব্যাখ্যা ও হাদিস সম্পর্কিত বই আমাকে মুগ্ধ করে।’
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এই বইমেলায় ২০৩টি স্টল রয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশি প্রকাশকরা অংশ নিয়েছেন। মেলায় লেখক কর্নার, ফুড কর্নার, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আয়োজন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টল ও দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে ইফা প্রকাশিত বই ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হচ্ছে। মেলা চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।
]]>