আমলগুলো করার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ে সমান ফজিলত লাভ করবেন। তবে, যে আমলগুলো মসজিদে যাওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলো মূলত পুরুষদের জন্য। বাকি আমলগুলো রয়েছে তার সবগুলোই নারী পুরুষ সকলেই করতে পারেন। গোসল করা, বেশি বেশি দরুদ পাঠ, সুরা কাহাফ তিলাওয়াত, নখ কাটা ইত্যাদি।
এছাড়া নারীরা জুমার নামাজের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায় করবেন। হজরত উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে,
নারীদের ঘরে নামাজ পড়া বাইরে নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম। (আল মু’জামুল আওসাত ৯১০১)।
আরেক হাদিসে এসেছে, নারীদের নামাজের উত্তম জায়গা হলো তাদের ঘরের নির্জন কোণ। (মুসনাদে আহমদ ২৬৫৪২)
আরও পড়ুন: বেশিরভাগ মানুষ যে ২ কারণে জাহান্নামে যাবে
নারীরা জুমার দিনে পুরুষদের সাওয়াব অর্জনে সহায়তা করবে। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান সওয়াব পাবে। অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানো হবে না। অন্যদিকে যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান পাপে জর্জরিত হবে। তার অনুসারীর পাপ মোটেও কমানো হবে না। (আবু দাউদ ৪৬০৯)