জুনের শুরুতেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু

১ সপ্তাহে আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে সংস্কার কাজ নিয়ে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করবে ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এই আলোচনার উদ্বোধন করবেন।

গত ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফায় আলোচনা শেষ হয়।

 

সোমবার (২৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

 

এ সময় সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও তৃণমূলের সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। কেউ যেন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে সেই বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। শৃঙ্খলা আনতে হবে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ ভোটের আয়োজন করতে হবে।’

 

‘এত বড় অভ্যুত্থানের পর যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছিলাম, এটা যেন তেমন বাংলাদেশই রয়ে না যায়’, যোগ করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনো দ্বিমত নেই: আলী রীয়াজ

 

সভায় অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

 

কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, এ বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই ঐকমত্য প্রকাশ করেছে।

 

কমিশন সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া অবিলম্বে জনপ্রশাসন সংস্কার বাস্তবায়ন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে এনাম কমিশন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার যে অর্গানোগ্রাম তৈরি করেছিল সেটাই এখনো রয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে এবং নতুন অনেক সংস্থা গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন গঠন করা হলে এই অর্গানোগ্রামগুলো পুনর্গঠন করা যাবে।

 

তিনি আরও বলেন, এনবিআর সংস্কারে জনপ্রশাসন কমিশনের সুপারিশ ছাড়া আরও দুটি কমিশন কাজ করেছে যার ফলে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলোও জানানো হবে: আলী রীয়াজ

 

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি এমদাদুল হক রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি নিয়োগে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে তা যেন স্বচ্ছভাবে কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান।

 

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রতিনিধি ইফতেখারুজ্জামান প্রাথমিকভাবে গঠিত ছয়টি কমিশনের বাইরে গণমাধ্যম, শ্রম, স্থানীয় সরকার, নারী ও স্বাস্থ্য বিষয়ক যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে সেগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানান।

 

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া প্রস্তাবটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশ করার আহ্বান জানান।

 

আজকের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি সফর রাজ হোসেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন